কবি: হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা জাহিদ আব্বাস নাজাফী
শাহাদাতে ফাতেমা যাহরা (সাঃআঃ) এর উপলক্ষে বাংলা নওহা
ইয়া যাহরা ইয়া যাহরা ইয়া যাহরা
যাহরার কষ্ট শোনো আমি বয়ান করি।
ইয়া মাজলুমা ইয়া মাসুমা ইয়া যাহরা।
ইয়া যাহরা ইয়া যাহরা ইয়া যাহরা
(১)
যাহরার কষ্ট শোনো আমি বয়ান করি।
যাহরা ছিলো সে বাবার খুবই আদরি।
দুনিয়া থেকে যখন চোলে যায় নবী।
তাকে কষ্ট দিয়েছে হায় নবীর উম্মতী।
তাঁর উপর উম্মতেরা রহম করেনি।
ইয়া মাজলুমা ইয়া মাসুমা ইয়া যাহরা।
ইয়া যাহরা ইয়া যাহরা ইয়া যাহরা ।
(২)
একটি কথা বয়ান করি আমি কেঁদে কেঁদে।
নবীর পরে উম্মতেরা আগুন দিয়ে।
তারা ফতেমার দরজা কে জ্বালিয়েছে।
আর সেই দরজা কে তারা ধাক্কা দিয়ে।
ফাতেমা যাহরার উপর তারা ফেলেছে।
ইয়া মাজলুমা ইয়া মাসুমা ইয়া যাহরা।
ইয়া যাহরা ইয়া যাহরা ইয়া যাহরা ।
(৩)
জ্বলন্ত দরজা যখন যাহরার উপর পড়ে।
দেওয়াল দরজার মাঝে যাহরা পিষে গেছে।
আর মহসিন সে তো শহীদ হয়েগেছে।
আর যাহরা কেঁদে কেঁদে ফিজ্জা কে ডাকে।
কোথায় আছো ফিজ্জা মদত করো আমাকে।
ইয়া মাজলুমা ইয়া মাসুমা ইয়া যাহরা।
ইয়া যাহরা ইয়া যাহরা ইয়া যাহরা ।
(৪)
যখন আলী কে নিয়ে যায় গলায় দড়ি বেঁধে।
তখন ফাতেমা বলে এই কথা কেঁদে কেঁদে।
তোমরা আলী কে ছেড়ে দাও আমার কথা মেনে।
তখন এক জালিম যাহরার কথা শুনে।
চাবুক দিয়ে যাহরার পিঠে মারে।
ইয়া মাজলুমা ইয়া মাসুমা ইয়া যাহরা।
ইয়া যাহরা ইয়া যাহরা ইয়া যাহরা ।
(৫)
কতো কষ্ট যাহরা আর সহ্য করিবে।
তাঁর হক কে উম্মতেরা কেড়ে নিয়েছে।
আর হকের তরে ফতেমা মজবুর হয়ে।
চোলে গিয়েছে ফতেমা পাপীদের দরবারে।
তখন তারা যাহরার মুখে চড় মারে।
ইয়া মাজলুমা ইয়া মাসুমা ইয়া যাহরা।
ইয়া যাহরা ইয়া যাহরা ইয়া যাহরা ।
(৬)
কেমন জুলুম যাহরার উপর হয়েছে।
১৮ বছরে সে বুড়ি হয়েগেছে।
তাঁর মাথার চুল দেখো সাদা হয়েগেছে।
আর লাঠি হাতে ধরে যাহরা বয়ান করে
দেখো বাবা যাহরা বুড়ি হয়েগেছে।
ইয়া মাজলুমা ইয়া মাসুমা ইয়া যাহরা।
ইয়া যাহরা ইয়া যাহরা ইয়া যাহরা ।
(৭)
জাহিদ ও রাজেশ কেঁদে বয়ান করে।
কেমন সময় এসেছে নবী তোমার পরে।
তোমার পরে যাহরা কেঁদেছে অঝরে।
আজও নেই তোমার যাহরা একটু শান্তিতে।
নেই আলো ও ছায়া তাঁর মাজারের উপরে।
ইয়া মাজলুমা ইয়া মাসুমা ইয়া যাহরা।
ইয়া যাহরা ইয়া যাহরা ইয়া যাহরা ।